ঝিনাইদহে রোটা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব

ঝিনাইদহে রোটা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব

শেখ শফিউল আলম লুলু,ঝিনাইদহ;

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ঘরে-ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে রোটা ভাইরাস বা কোল্ড ডায়রিয়া। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলতি সপ্তাহে প্রায় অর্ধশত শিশু ভর্তি হয়েছে । রোটা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় অভিভাবক মহল শংকিত হয়ে পড়েছে। যদিও স্বাস্থ্য চিকিৎসকদের দাবী এখনই চিনতা কোন কারণ নেই। তারা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।
জানা যায়, হঠাৎ তীব্র শীতের কারণে শিশুদের মাঝে সর্দি-কাঁশি জ্বর এর সাথে পাতলা পায়খানা বা কোল্ড ডায়রিয়া ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। বাড়ীর বয়োজষ্ঠ সদস্যরা এই ধাক্কা সামাল দিতে পারলেও বাড়ীর ছোট ও নতুন জন্ম নেওয়া শিশুরা কোনভাবেই সুস্থ থাকছে না।
তবে করোনা সংক্রমনের এমন উবর্ধগতির সময়ে ভুক্তভোগী অভিভাবকেরা করোনা সংক্রমনের কথা মাথায় নিয়ে ডাক্তার হাসপাতাল করতে এক ধরনের শঙ্কার মধ্যে পড়ছেন।
চিকিৎকরা বলছেন ঋতুর সাথে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে কোন কোন সময়ে কিছু রোগব্যাধির প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। হাড়কাঁপুনী শীত আসলে শিশুরা নিউমোনিয়া, ঠান্ডা, কাঁশি জ্বরে আক্রানত হয়ে থাকে। আবার কয়েকদিন পরে তা স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসে। রোটা ভাইরাসে আক্রানত শিশুরা কয়েক দিনের চিকিৎসায় সুস্থও হয়ে উঠে। ফলে ভয়ের কিছু নেই।
হাসপাতালে ভর্তি দেড় বছরের ফাতেমার মা ভিটশ্বর গ্রামের রিয়া খাতুন জানান, তার মঙ্গলবার থেকে পাতলা পায়খানা করছে। সঙ্গে ঘনঘন বমি হচ্ছে। আজ কিছুটা কমলেও তার সম্পর্ণভাবে সুস্থ হতে এখনও সময় লাগবে।রঘুনাথপুর গ্রামের উজ্জল মিয়া জানান, তার শিশু কন্যা ফাতেমা গত তিনদিন আগে ডাইরিয়ায় আক্রানত হয়ে নিস্তেজ হয়ে গিয়েছিল। পরে তড়িঘড়ি হাসপাতালে এনে ভর্তি করেছি। এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। চিকিৎসক বলেছেন আরও দুই একদিন হাসপাতালে থাকতে হবে।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডঃ মাজাহারুল ইসলাম জানান, শীতের সময়ে সাধারনত সব বয়সী মানুষের ঠান্ডাজনিত রোগব্যাধি বেশি দেখা যায়। তবে আক্রানতদের মধ্যে বেশি থাকে বয়ষ্ক ও শিশুরা। শিশুদের খাবারসহ ঠান্ডা স্যাতসাঁতে পরিবেশে থাকলে রোটা ভাইরাস জেকে বসে। অনেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। আবার নতুন করে কিছু যোগ হচ্ছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কর্মকর্তা ডাঃ আলমগীর হোসেন জানান, বর্তমানে কালীগঞ্জে শিশুদের কোল্ড ডায়রিয়া বা রোটা ভাইরাস দেখা দিয়েছে। আবার নতুন করে ১১ টি শিশু রোটা ভাইরাসে আক্রানত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
অভিভাবক মহলের দাবী কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দীর্ঘদিন ধরে নেই। শিশুদের জটিল কিছু হলে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল অথবা যশোরে ২৫০ বেড হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে শিশুদের চিকিৎসা করাতে হয়। যা অনেক ব্যয়বহুল। তাই কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু বিশেষজ্ঞর ব্যবস্থা করা হোক।

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন